সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. খোরশেদ আলম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরআগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির রংপুরের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার বিজয় কৃঞ্চ কর ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আদালতে হাজির হয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন, বড়াইগ্রামের বনপাড়া মৃধাপাড়া এলাকার আনসার আলীর ছেলে বিপ্লব (২২) ও ভবানীপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে মানিক (৩৮)।
নাটোরের কোর্ট ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সভাপতি সানা উল্লাহ নুর বাবু। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. মহুয়া নুর কচি বাদি হয়ে ২৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে ওই মামলার ২৭ জন আসামিই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে সিআইডিকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়।
এরই প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির রংপুরের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার বিজয় কৃঞ্চ কর ২৭ ফেব্রুয়ারি নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
বিচারক ওইদিন শুনানি শেষে সোমবার (১২ মার্চ) রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেন। দুপুরে বিচারক শুনানি শেষে আসামি বিপ্লবের চার দিন ও মানিকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্ত কর্মকর্তা দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে কোর্ট হাজত থেকে তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। এ মামলায় আসামির সংখ্যা ২৭ থেকে ২৯ এ দাঁড়ালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এনটি