সোমবার (১২ মার্চ) কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
এর আগে রোববার (১১ মার্চ) রাতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ অপহরণ চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করে র্যাব-২।
আটকরা হলেন- মো. সেলিম মোল্লা (৫০), মো. রাজিবুল হাসান (২৭), মো. তারেক হোসেন (৩১), রুহুল আমীন (৩৫), তুহিন বিশ্বাস (৩০), তারেক হোসেন (২৬), মোশারফ হোসেন (৪৭), আব্দুল রাজ্জাক (৩৫), নিরব আহমেদ (২৯) ও আবুল বাশার বিশ্বাস (৩৩)।
এসময় তাদের কাছ থেকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, পিস্তল, ম্যাগজিন, গুলি ও নগদ ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার কর হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, হরিরামপুরের ঝিটকা এলাকার কালই গ্রামের অপহরণকারীদের মূলহোতা সেলিম মোল্লার তিন তলা বাড়িতে অপহৃতদের রাখা হয়। অপহরণের পর ওই বাড়িতে জিম্মি ব্যক্তিদের জন্য টর্চার সেল ছিল। অপহরণকারীরাও ওই বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি আরো বলেন, গত ৯ মার্চ সকাল ১১টায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে করে জাফর ও মিরাজকে তুলে নেন অপহরণকারীরা। তারপর তাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মানিকগঞ্জে নিয়ে যান। তারা ধানমন্ডি যাওয়ার জন্য গাড়ি খুঁজতে গিয়ে এ অপহরণের শিকার হন। তারপর জাফরের মোবাইল ফোন থেকেই প্রথমে তার স্ত্রী ও পরে বোনের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে এবং মিরাজের স্ত্রীর নম্বরে ফোন দিয়ে দুই পরিবারের কাছে মোট ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে জাফরের বোন অপহরণকারীদের কথা মতো ২ লাখ ৮৫ হাজার নগদ টাকা ও স্বাক্ষর করা খালি চেকের পাতা দেন। আর অপহরণের টাকা জমা দিতে মিরাজের স্ত্রীকে অপহরণকারী সদস্য রাজীবের ব্যাংক হিসাব নম্বর দেওয়া হয়। পরে ব্যাংক হিসাবের সূত্র ধরেই বিষয়টি তদন্ত শুরু করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি এভাবে লোকজনদের অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়ে আসছিল। তাদের বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এমএসি/আরবি/