সোমবার (১২ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটায় তারা এ কর্মসূচি আয়োজন করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশ ও নেপালের শিক্ষার্থীসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে তাদের শোক প্রকাশ করেন।
কর্মসূচির শুরুতেই নিহতের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পিএইচডি গবেষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ক্ষতি অপূরণীয়। আমরা অনেকগুলো মেধাবী মানুষকে হারালাম। তারা সবাই যেন আমাদের আপনজন। ’
ফেরদৌসি বেগম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে এখানে আমরা নিহতের স্মরণ করতে একত্রিত হয়েছি। তাদের আত্মা শান্তি খুঁজে পাক। তাদের স্বজনদের জন্য আমাদের গভীর সমবেদনা। ’
এলপি অধিকারী নামে এক নেপালি শিক্ষার্থী বলেন, ‘এ কষ্ট মেনে নেওয়ার মতো নয়। এদিনটি বাংলাদেশ ও নেপাল দু’দেশের জন্যই খুব খারাপ একটি দিন’। আমরা অনেকেই আমাদের কিছু পরিচিত মানুষদের আর কখনোই দেখতে পাবো না। ’ সমাজবিজ্ঞাণের শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, ছবির মতো সুন্দর দেশ নেপাল। হিমালয়ের ডাকে আমরা ছুটে যাই সেখানে। নেপাল-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও বেশ গভীর। এ বেদনা তাই আমাদের প্রত্যেকের স্বজন হারানোর বেদনা। জানি না এ শোক কত দিনে কাটবে?
দুর্ঘটনার বার্তা শোনার পর বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টির নেপাল ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন শোকের ছায়া নেমে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এএটি