কর্মরত ছিলের সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজনের) প্রোগ্রাম অফিসার পদে। আর সাংবাদিকতা ছেড়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বেসরকারি সংস্থা এএনএফডব্লিউডিওতে কাজ করতেন।
সানজিদা-রফিক দম্পতি ঢাকার শুক্রাবাদে সুখের সংসার সাজিয়েছিলের। আর তাদের একমাত্র ঢাকার ছেলে অনিরুদ্ধ জামান (৮) ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
তবে ঢাকার যাত্রিক জীবন ছেড়ে একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধকে নিয়ে হিমালয় কন্যা নেপালে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজে, সেই থেকে তাদের খোঁজ মেলেনি।
নিকটজনেরা দাবি করছেন, বিভিন্ন সূত্রে তারা এই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছেন।
এদিকে সোমবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় যশোর উপশহর এ ব্লকের ২৪৫ নং বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, সানজিদার বৃদ্ধ বাবা সাবেরুল হক এখনও জানেন না মেয়ে-জামাই আর আদরের নাতির করুণ পরিণতির খবর। বাড়িতে লোকের আনাগোনা দেখে তারও কৌতুহল বাড়ছে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে বলেন, সাবেরুল হকের তিন সন্তানের মধ্যে সানজিদা হক বিপাশা সবার বড়। বছর দুয়েক আগে সানজিদার মায়ের মৃত্যু হয়। বাবা সাবেরুল হক বয়সজনিত কারণে শয্যাশায়ী। তবে সানজিদা হকের দুই ভাই মিথুন ও মঈন। তারাও ঢাকায় বসবাস করেন।
সানজিদা হক বিপাশার চাচাতো ভাই ফজল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে তারা খবর পেয়েছেন প্লেন বিধ্বস্তের। এরপর ঢাকায় বসবাস করা ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিপাশার বাবা বিছানায় শয্যাশায়ী। তাই তাকে এখনও জানানো হয়নি দুর্ঘটনার খবর। বাড়ির অন্যান্য সবাই নিরবে চোখ মুছছেন বার বার। বাড়িতে প্রতিবেশির ভিড় আর পরিবারের সদস্যদের বিষন্ন চেহারা উৎকন্ঠিত করে তুলছে বৃদ্ধ সাবেরুলকেও। বার বার জানতে চাইছেন কী হয়েছে!
নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের প্রাণহানি খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে চার ক্রু ও ৬৭ আরোহী নিয়ে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ, ১৩, ২০১৮
ইউজি/এএটি