মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার এর সিইও লিপটন সরকার।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়। মূলত এর স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার এবং নানাবিধ অ্যাডভেঞ্চার এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার তত্ত্বাবধানেই প্রথম বারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ২০০৬ সালে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে এবং ধীরে ধীরে এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পায়। লিপটন সরকার ১২ বছরে ১২ বার পাড়ি দেন বাংলা চ্যানেল। এছাড়াও ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী নেদারল্যান্ডের মিল্কোভ্যান গুল এবং ভারতের ঋতু কেদিয়া বাংলা চ্যানেলের ৭ম ও ১১তম আয়োজনে তাদের ব্যবস্থাপনাতেই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন।
তিনি আরও বলেন, ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার এবং এক্সট্রিম বাংলার আয়োজনে ১৩তম বাংলা চ্যানেল সুইমিং এবারের টাইটেল স্পন্সর ফরচুন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ আয়োজনের সহযোগী আয়োজক। স্পন্সর ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রিয় প্রাঙ্গণ, অফরোড বাংলাদেশ। সিকিউরিটি পার্টনার এলিট ফোর্স। যাবতীয় উদ্ধার অভিযান করবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, এনসিসি ব্যাংক, ষড়জ ও উডপেকার এ আয়োজনে পার্টনার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক নিখিল রঞ্জন রায়, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের পক্ষ থেকে সিনিয়র ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ আবদুল্লাহ আল মুহিন এবং মার্কেটিং ম্যানেজার ফয়সাল মাহমুদ, ট্রাভেল অ্যান্ড ফ্যাশনের সম্পাদক আহসান হাবীব, এক্সট্রিম বাংলার সাতারু ফজলুল কবির সিনা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলা চ্যানেল বঙ্গোপসাগরের ভেতরে ১৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পানি পথ, যা টেকনাফ ফিসারিজ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন আইল্যান্ডের ফেরীঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এমএইচ/আরআইএস/