ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সবুজ ক্যাম্পাসে ফিরছেন জাফর ইকবাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
সবুজ ক্যাম্পাসে ফিরছেন জাফর ইকবাল

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ফিরছেন চিরচেনা ক্যাম্পাসে।

হামলার ১১ দিন পর চিকিৎসা শেষে বুধবার (১৪ মার্চ) প্লেনের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়ে দুপুর পৌনে ১টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি।
 
জাফর ইকবালের একান্ত সহকারী জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে এমন তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সেখান থেকে বিকেল ৪টায় আসবেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের মুক্ত মঞ্চে।

যেখানে গত ৩ মার্চ হামলার শিকার হন তিনি। এ স্থানে দাঁড়িয়েই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।
   
অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালকে বরণে প্রস্তুত শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে আপন ভুবনে ফিরছেন জাফর ইকবাল। প্রযুক্তি শিক্ষার আলোয় আলোকিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তাকে ছাড়া যে বড়ই বেমানান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে উচ্ছাসিত হবেন। শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেতে উঠবেন তিনি- এমন প্রত্যাশা সবার।

হামলার ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন যথারীতি তাকে এ ক্যাম্পাসের ‘ব্র্যান্ডম্যান’ উপাধি দিয়েছেন।

শনিবার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। তার মাথায় এবং হাতে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারী ফয়জুল। হামলার পরপরই তাকে আটক করে গণপিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হন ওই হামলাকারী।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে নগরীর জালালাবাদ থানায়। এ মামলায় ফয়জুলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এরপর একে একে অভিযান চালিয়ে ফয়জুলের বাবা হাফিজ আতিকুল ইসলাম, মা মিনারা বেগম, ভাই এনামুল হাসান, মামা ফজলুর রহমান, শাবিপ্রবি গ্রন্থাগারের নিরাপত্তা প্রহরী খালেকুজ্জামান, বাইসাইকেল কারিগর জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এছাড়া ফয়জুলের চাচা আব্দুল কাহার লুলই ও তার সাবেক কর্মস্থল নগরীর রাজা ম্যানশনের একটি কম্পিটার দোকানের মালিক মঈন উদ্দিনকে আটক করা হলেও পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
 
হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা, রক্তমাখা জামা-কাপড়, এনামুল হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার করা ট্যাব, মোবাইল ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
 
আটকদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফয়জুল, তার ভাই এনামুল হাসান, বাবা, মা ও মামাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

** এবার ফয়জুলের ভাই এনামুলের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।