পুরোপুরিভাবে মাতৃত্বকালীন ছুটিও পালন করেননি উম্মে সালমা। অন্যদিকে নাজিয়া আফরিন মানেই কাজ পাগল একজন মানুষ।
‘ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস অ্যান্ড প্রভার্টি অ্যালিভেশন ইন সাউথ এশিয়া প্রাকটিক্যাল অ্যাপ্রোচ টু ইম্প্রুভিং হিউম্যান অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস’ এর উপর দুই দিনব্যাপী সম্মেলন হবে নেপালের কাঠমান্ডুতে। সম্মেলনে নাজিয়া-সালমার নাম প্রস্তাব করা হয়। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন পরিকল্পনা কমিশনের ওই দুই কর্মকর্তা।
জানা যায়, সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা ছিলো জিইডি'র সদস্য (সিনিয়র) ড. শামসুল আলমের। কিন্তু তিনি না গিয়ে এই দুই কর্মকর্তাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এই বিষয়ে ড. শামসুল আলম বলেন, ‘আমাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিলো। আমি আয়োজক কমিটিকে বলি যাবো না। এ সংক্রান্ত সম্মেলনে অনেক গিয়েছি। আমার দুই সহকর্মীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। আমার একার জন্য নেপালে যে খরচ হবে দুই সহকর্মী গেলে একই খরচ হবে। এর পরে নাজিয়া আফরিন ও উম্মে সালমাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমি দেখলাম এসব সম্মেলনে আমার সহকর্মীদের পাঠালে তারা খুশি হবেন। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন’।
তিনি আরও বলেন, নাজিয়া আফরিন ও উম্মে সালমা কাজে সবসময় মনযোগী ছিলেন। তারা দুইজন অত্যন্ত মেধাবী, সদালাপী এবং নিষ্ঠাবান ছিলেন। তাদের হারিয়ে শুধু জিইডি পরিবার নয় গোটা দেশের ক্ষতি হয়ে গেলো।
নাজিয়া-সালমার কর্মক্ষেত্র জিইডিতে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) কালো ব্যাচ ধারণসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে তিনদিনের শোক পালন করা হচ্ছে। জিইডি’র সেমিনার কক্ষও নাজিয়া-সালমা নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে মঙ্গলবার জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনের শুরুতেই পরিকল্পনা কমিশনের দুই কর্মকর্তার নামেই সম্মেলন উৎস্বর্গ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এমআইএস/জেডএস