সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। তিনি নেপালের মাহোত্রারী সানফা-৩ এলাকার বাসিন্দা।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অফিস ইনচার্জ রতন সরকার জানান, দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মরদেহ দেখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন শ্রেয়া। কর্তৃপক্ষ তার ছুটি মঞ্জুর করলে সোমবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেনে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। দুপুর আড়াইটার দিকে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেনটি বিধ্বস্ত হলে মারা যান তিনি।
সোমবার গভীর রাতে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বর্তমানে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ৪২ জন নেপালী ছাত্রী লেখাপড়া করছেন। এর মধ্যে ছয়জন শ্রেয়ার ক্লাসমেট রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. আব্দুল হালিমের সঙ্গে কথা হলে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, এরকম মৃত্যু কারও কাম্য হতে পারে না।
শ্রেয়া ঝা’র মৃত্যুতে বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
আরএ