মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
যুক্তরাজ্যে বিমান বাংলাদেশের কার্গো পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন বিমান কর্তৃপক্ষ।
এসময় শাকিল মেরাজ বলেন, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স চাইলে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করবো আমরা। সেটা মরদেহ পরিবহন হোক, আর অভিজ্ঞ কোনো কর্মকর্তা দিয়ে হোক বা যে কোনো ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা সমাধানে বিমান তাদের পাশে আছে। তারা যে ধরনের সহযোগিতা চাইবে সেটাই দিতে আমরা প্রস্তুত।
এসময় অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এয়ারলাইন্স বিজনেস অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি বিজনেস। এখানে সবাইকে সবার পাশে থাকতে হবে। আর যে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা জীবনের একটি পার্ট। এমন ঘটনাতো বলে আসে না। তবে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরটি বিশ্বের ১০টি বিপদজনক বিমানবন্দরের একটি। এখানে অত্যন্ত অভিজ্ঞ পাইলট ছাড়া বিমান ফ্লাইট পরিচালনা করে না। এঘটনা থেকে আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
এর আগে হতাহতদের শনাক্ত করতে ৪৬ স্বজনকে নিয়ে ইতোমধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিশেষ একটি ফ্লাইট নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু পৌঁছেছে।
নেপালের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। সেখানে তারা স্বজনদের শনাক্ত এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান।
সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পার্বত্য শহর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এসআইজে/এসএইচ