মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল একথা জানান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, হিয়ার দাদি ও নানি নিজেদের মধ্যে একটা সমঝোতায় এসেছেন।
দুর্ঘটনার পরে সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে উত্তরায় নাবিলার বাসা থেকে হিয়াকে তার দাদি ও চাচি আনতে গেলে বাসায় তালা বন্ধ পান। হিয়ার স্বজনরা জানান, স্বামী দেশের বাইরে থাকায় হিয়াকে গৃহকর্মী রুনার (২৮) কাছে রেখে ফ্লাইটে যেতেন নাবিলা।
হিয়াকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে উত্তরা পশ্চিম থানায় ওই রাতেই জিডি (জিডি নম্বর-৯০২) করেন হিয়ার দাদি বিবি হাজেরা।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার গৃহকর্মী রুনাকে আটক করে। রুনা দাবি করেন, তিনি হিয়াকে অপহরণ করেননি। এরপর গৃহকর্মীকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযান চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন>>
**সমঝোতা না হলে ‘হিয়া’ পুলিশি হেফাজতেই
মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরের ভাষানটেক এলাকায় নানির বাড়ি থেকে হিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ত্রিভবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বম্ত হয় ফ্লাইট বিএস ২১১।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট, কো-পাইলট, কেবিন ক্রুসহ মোট ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। সেখানকার তিনটি হাসপাতালে জীবিত ১০ জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যেও কারও অবস্থা গুরুতর আহত অনেকে আবার হালকা আঘাত পেয়েছেন।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে যত দ্রুত সম্ভব তাদের মরদেহ দেশে আনা হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়:২২৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
পিএম/এমএ