সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার আগে কনস্টেবল মাসুদুল হককে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ থেকে ক্লোজড করা হয়।
বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি) নাছির উদ্দিন মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই ডিবি পুলিশের টিমে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশারসহ দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও বাকি পাঁচজন কনস্টেবলকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে এডিসি রুনা লায়লাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ কমিশনার।
অপরদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যামেরাপারসন সুমান হাসান নির্যাতনের বিষয়ে বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিউটি রোডের একটি মাদকবিরোধী অভিযান শেষে হঠাৎ করেই ডিবি পুলিশের এসআই আবুল বাশারসহ তার টিমের সদস্যরা আমার ওপর চড়াও হয়।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা (ডিবি পুলিশ) আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন এবং গায়ের জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে। একপর্যায়ে জোর করে লাঠি দিয়ে মারধর করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে টানতে টানতে খালি গায়েই ওই গাড়িতে তোলা হয় আমাকে। পরে আমাকে গাড়ির ভেতরে তুলে আমার প্যান্টের বেল্ট দিয়ে গলা পেছনের দিকে টেনে ধরা হয়। তারপর ডিবি অফিসে নিয়েও আমার বুকের ওপর লাথি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে মারধর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এমএস/এএটি