বুধবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী শচিপতি ঠাকুর ও হেমাংশুপতি ঠাকুর এ স্নানোৎসবের উদ্বোধন করেন।
এসময় পদ্মনাভ ঠাকুর, অমিতাভ ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর ও সুচিপতি ঠাকুর শিবুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লাখ লাখ মতুয়াভক্ত ও হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভক্তরা এখানে স্নান করবেন পাপ মোচনের জন্য। স্নান চলবে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
উৎসবে আগত পূণ্যার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
এদিকে, স্নানোৎসব উপলক্ষে বসেছে মহাবারুয়ানী মেলা। মেলা চলবে শনিবার (১৭ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত।
হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরী কাশিয়ানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর বাংলানিউজকে জানান, দেশের বিভিন্নস্থানে মতুয়া ভক্তরা এ স্নানোৎসবে যোগ দিয়েছেন। হাতে বিজয় ও সত্যের লাল নিশান এবং ডাংখা (বড় ঢোল) বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে মতুয়া অনুসারীরা ছুটে আসেন তীর্থভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে। আগত ভক্তরা প্রথমে কামনা ও পরে শান্তি সাগরে (বড় আকৃতির পুকুর) স্নান করে যার যার কামনা বা প্রার্থনা করবেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, ২০০ পুলিশ সদস্যের একটি শিফটিং তালিকা তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠান স্থলে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। আগত লোকদের নিরাপত্তা ও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পুলিশ বাহিনী সর্বদা কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, স্নানোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে বড় ধরনের জমায়েত হয়, সেই কারণে ঠাকুরবাড়ির প্রবেশ পথে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এনটি