বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৭১ ফ্লাইটে ওঠার আগে সকাল ১০টার দিকে মেডিকেল টিমের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লুৎফুর কাদের লেলিনের নেতৃত্বে এ টিমে রয়েছেন সাত চিকিৎসক ও দুইজন সিআইডি কর্মকর্তা।
চিকিৎসকরা হলেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের (পঙ্গু হাসপাতাল) সার্জন ডা. রাজিব আহমেদ, ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসেন ইমামও।
আর দুই সিআইডি কর্মকর্তা হলেন অ্যাডিশনাল সুপারিটেন্ডেন্ট অব পুলিশ (ক্রাইম সিন, সিআইডি) আবদুস সালাম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিএনএ স্পেশালিস্ট (সিআইডি) আশরাফুল আলম। ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, প্লেন বিধ্বস্তে অাহতদের উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে আমরা নেপাল যাচ্ছি। এর মধ্যে সিআইডির দুইজন সদস্য রয়েছেন। অাহতদের ফরেনসিক ও ডিএনএ টেস্টসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। টিমে রয়েছেন বার্ন বিশেষজ্ঞ ৩ জন, অাইসিইউ বিশেষজ্ঞ ২ জন, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ৩ জন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ একজন। প্রথম অামরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো, এরপর প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হবে।
টিমের অারেক সদস্য ডা. রাজিব অাহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অামরা যাচ্ছি, নেপালি ডাক্তারদের মূলত সহায়তা করার জন্য যাচ্ছি। তিনটি হাসপাতালে অামাদের রোগীরা রয়েছেন। ওই তিন হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বসে অালোচনা করবো। সহায়তার খাতগুলো বের করে সহযোগিতা করা হবে। প্রযুক্তিগত ব্যাকাপ নিয়ে যাচ্ছি, প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার হবে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতার পর বিজি ০৭১ বেলা ১১টার দিকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮/আপডেট ১১১৫ ঘণ্টা
এমসি/এইচএ/