জানা যায়, গত বছরের ২৫ এপ্রিল বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক পদটি খালি হওয়ার পর সেই পদে মেকানিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট মো. হাসানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১২ ডিসেম্বর মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে শূন্য পদে নিযুক্ত হন আমিনুল ইসলাম।
অপরদিকে মেকানিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট পদের কর্মকর্তা মো. হাসান মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় তার আগের পদটি শূন্য হয়ে আছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৫মার্চ) গিয়ে দেখা যায়, মোটরযান পরিদর্শকের কক্ষে কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে মো. হাসান কর্মরত রয়েছেন বলে লেখা। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম সেখানে অফিস করছেন। অথচ কর্মকর্তাদের নামের তালিকায় তার নাম লেখা নেই। অপরদিকে তার পাশেই অন্য একটি কক্ষে মো. হাসান মোটরযান পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাইনবোর্ড লিখে অফিস করছেন।
নিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পদটি শূন্য হওয়ায় সেখানে হাসান নামে একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ওই পদে আমাকে নিয়োগ করার পরও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পদ ছাড়ছেন না। এই অফিসে মোটরযান পরিদর্শক পদ মাত্র একটি। আমি নিযুক্ত হওয়ার পর একপদে দু'জন দায়িত্বরত রয়েছি। আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এক ধরনের বেকার অবস্থায় বসে আছি আমি। বিষয়টি নিয়ে সহকারী পরিচালককে বারবার অভিযোগ করার পরও কোনো সমাধান পাচ্ছি না।
অভিযোগ স্বীকার করে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মোটরযান পরিদর্শক মো. হাসান বলেন, আমাকে যে পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সে পদ থেকে এখনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে বাতিল করেননি, তাই আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’র (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে মো. হাসানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এখন এই পদে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমিনুল ইসলাম নামে একজনকে। দুই ব্যক্তিই দায়িত্ব পালন করছেন। আমার এখানে কিছু করার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
আরএ