শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা হলেন- গাজীপুরের মেহেদী হাসান, আলমুন নাহার অ্যানি ও সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা।
এর আগে গত ১২ মার্চ স্বামী-সন্তানসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনজন বেঁচে ফিরলেও নিহত হয়েছেন অ্যানির স্বামী এফএইচ প্রিয়ক ও তার শিশু কন্যা।
আরও পড়ুন>>
** ফিরলেন মেহেদী-স্বর্ণা-অ্যানি, নেওয়া হচ্ছে ঢামেকে
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করা বিমানের বিজি ০০৭২ ফ্লাইটে তাদের দেশে আনা হয়।
সেখান থেকে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জেন্ট ডা.পার্থ শংকর পাল বাংলানিউজকে বলেন, আহত তিনজনকে আমাদের এখানে আনা হয়েছে। আমরা এখন পরীক্ষা করে দেখবো তাদের শারীরিক অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে! এরপর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী তাদের চিকিৎসা সেবা শুরু হবে।
এর আগে কাঠমান্ডুতে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় আনা হয়। বর্তমানে ঢামেক বার্ন ইউনিটের ভিআইপি-২ কেবিন চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কাঠমান্ডুতে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত ৪ জনকে ঢামেকে আনা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১।
এতে প্লেনের ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ফ্লাইটটির পাইলট, কো-পাইলট, ক্রুসহ ২৬ বাংলাদেশি আরোহী রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা মার্চ ১৬,২০১৮
এজেডএস/এমএসি/এমএ