শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেলে নেপাল থেকে আসা আহত তিনজনকে দেখতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান ওবায়দুল কাদের ও বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল।
এসময় কাদের বলেন, এরই মধ্যে আমাদের বিমানমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল নেপালের প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও পর্যটন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আহত এবং নিহতদের সব দায়িত্ব নিতে যদি ইউএস-বাংলা ব্যর্থ হয় সেত্রে সরকারই তাদের সব দায়িত্ব নিবে।
আর আমি শাহরিনকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তিনি মোটামুটি ভালো আছেন। আজকে যারা ফেরত এলো তাদেরও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদের জন্যও সবকিছু করা হবে।
‘নেপালে মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট এখন দ্রুততর হচ্ছে। সেটা আগে কঠিন ছিল। আমাদের মেডিকেল টিম যাওয়ার পর এ কাজ দ্রুত হচ্ছে’।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই বিষয়টাকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন যে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট, কো-পাইলটসহ তিনজনের বাসায় গিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেছি।
‘আমাদের সরকার চেষ্টা করছে, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি এখনো তদন্ত চলছে। তা শেষ হওয়ার আগে কিছু বলতে পারি না। এ বিষয়ে তদন্তের আগে মন্তব্য না করা ভালো’।
তিনি বলেন, ইউএস বাংলা ব্যর্থ হলে আহতদের চিকিৎসা দিতে শেখ হাসিনা সরকার ব্যবস্থা করবে। শেষ পযর্ন্ত সরকার আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকব, অঙ্গিকার করছি।
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ৫০ হাজার ডলার দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। জীবনের যা যাওয়ার তা তো চলে গেছে। আর জীবনের ক্ষতিপূরণ হয় না। তারপরও কোন পরিবার যদি সমস্যায় পড়ে আমাদের নেত্রী বলেছেন সহায়তা করবেন।
বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল বলেন, আমরা নেপালের যা দাবি করেছি, তারা সেভাবে ব্যবস্থা করেছে। মরদেহ দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। মরদেহগুলো দেখার মতো অবস্থা ছিলো না। কয়লা হয়ে গিয়েছিলো। এজন্য ডিএন টেস্ট সময় লাগবে।
তদন্তের আগে কেন দুর্ঘটনা ঘটেছে- এ বিষয় কিছু বলতে চাচ্ছি না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্ল্যাক বক্স পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে, সেটা দিয়ে তদন্ত ছাড়া কোনো কিছু আগে বলা যাবে না।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে আহত তিনজনকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৭২ ফ্লাইটটি। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিলেন স্বজনরা।
নেপাল থেকে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান, আলমুন নাহার অ্যানি ও সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণাকে দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার শাহরিনকে দেশে আনা হয়। এ নিয়ে মোট চারজনকে দেশে আনা হলো।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১ বিধ্বস্ত হয়ে আহত ওই তিন যাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এমসি/এসএইচ