শুক্রবার (১৬ মার্চ) নেপালের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে আনার ছাড়পত্র দিয়েছে। প্লেন দুর্ঘটনায় আহত কবির ও রাশেদ ওই হাসপাতালের আইসিইউ এবং শাহীন বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
নেপালের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাদের দেশে আনা হতে পারে। আর আহত অপর যাত্রী ইয়াকুব আলী ও এমরানা কবির হাসির অবস্থা এখনও স্থিতিশীল না হওয়ায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
এদিকে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৪৯জনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, এরই মধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্নের কাজ শেষ হয়েছে। তবে শনিবার (১৭ মার্চ) নেপালের সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় দুয়েকদিন দেরি হতে পারে।
আরও পড়ুন>>
** ফিরলেন মেহেদী-স্বর্ণা-অ্যানি, নেওয়া হলো ঢামেকে
আগামী মঙ্গলবারের (২০ মার্চ) মধ্যে শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো দেশে পাঠানো হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
শুক্রবার কাঠমান্ডুতে প্লেন দুর্ঘটনায় আহত একই পরিবারের তিন সদস্যকে ঢাকায় আনা হয়েছে। । তারা হলেন- গাজীপুরের মেহেদী হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা এবং আলমুন নাহান অ্যানি।
শুক্রবার বিকেল ৩টার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৭২ ফ্লাইটে তাদের ঢাকায় আনা হয়। এরপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি রয়েছেন বৃগস্পতিবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় আসা শাহরিন আহমেদ।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম (কমিউনিকেশন্স ও পাবলিক রিলেশন্স) কামরুল ইসলাম জানান, হতাহতদের দেশে আনার বিষয়ে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১।
এতে প্লেনের ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ফ্লাইটটির পাইলট, কো-পাইলট, ক্রুসহ ২৬ বাংলাদেশি আরোহী রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এমএ/