বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টা ২০মিনিটে খান জাহান আলী সেতু সংলগ্ন রূপসা নদীতে কার্গোটি ডুবে যায়।
শনিবার (১৭ মার্চ) তিন দিনেও কার্গোটি উদ্ধারে কোনো পক্ষই এগিয়ে আসেনি।
উদ্ধার সম্পর্কে জানার জন্য ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির মালিক নারায়ণগঞ্জের আলী হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোংলা হাড়বাড়িয়া থেকে কার্গো জাহাজটি ঘটনাস্থল রূপসার মাঝ নদীতে নোঙর করে। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে তলা ফেটে কার্গো জাহাজটি ডুবে য়ায়। খবরে পেয়ে খুলনা সদর ফায়ার স্টেশন ও নদী ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দুই ইউনিটের চারজন ডুবরি পানি তলদেশে গিয়ে নিশ্চিত হয় জাহাজটিতে সিমেন্টের কাঁচামাল (ক্লিংকার) রয়েছে। তবে জাহাজে থাকা ১১জন স্টাফ সাঁতরে নিরাপদে তীরে উঠেতে সক্ষম হয়েছেন।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন রূপসা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কামান্ডার মজিবুর রহমান বলেন, ডুবন্ত কার্গো জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষ এখনও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কার্গোর আশপাশ এলাকায় বয়া ও লাল পতাকার নিশানা দিয়েছে ডুবুরি দল।
এদিকে রূপসা নদীতে জিপসামসহ কার্গো ডুবিতে পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
পরিবেশ অধিদফতর খুলনার পরিচালক হাবিবুল হক খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘জিপসামসহ কার্গো ডুবিতে পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কার্গো ডুবির স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়েছে। জিপসাম নদীর পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বেরিয়ে আসবে ল্যাব পরীক্ষার পর।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
এমআরএম/এএটি