সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক পারভেজ শাহারিয়ার এ সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল কাদের সরদার জেলার আশাশুনি উপজেলার কাপসান্ডা গ্রামের আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস.এম আলমগীর হোসেন বাপ্পী বাংলানিউজকে জানান, আশাশুনি উপজেলার কাপসান্ডা গ্রামের আব্দুল কাদের ব্যবসায়ীক সম্পর্কের সুবাদে ২০১৬ সালের ১৪ মে মামলার বাদী ফেরদাউস গাজীর কাছ থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। পরে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও টাকা পরিশোধে টালবাহানা করতে থাকেন আব্দুল কাদের।
একপর্যায়ে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই ফেরদাউস গাজীকে তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে বসে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দেন আব্দুল কাদের। ওই দিনই ফেরদাউস গাজী চেকটি ক্যাশ করার জন্য ব্যাংকে জমা দিলে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তরা চেকটি ডিজ-অনার করেন।
এরপর ২০ জুলাই তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সমুদয় টাকা ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আব্দুল কাদেরের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নির্দিষ্ট সময়ে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মোতাবেক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে ফেরদাউস গাজী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৪৬৬/১৭।
সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ দেড় বছর পর সোমবার সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক পারভেজ শাহারিয়ার আব্দুল কাদের সরদারকে এক বছরের সাজা ও ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। তবে, মামলার আসামি আব্দুল কাদের সরদার পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
আরএ