বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে চরখিদিরপুরে মরদেহটি ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহটি উদ্ধার করে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিখোঁজের পর মৃন্ময়কে উদ্ধারে দুইদিন পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় ডুবুরি দল। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়। পরে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে নদীতে মৃন্ময়ের মরদেহ ভেসে ওঠে।
ভাসমান মরদেহটি দেখতে পেয়ে জেলেরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর একটি ছাত্রবাসে থেকে পড়াশোনা করতো মৃন্ময়। সে রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলো। তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
গত রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মায় নৌকা ভ্রমণে গিয়েছিল সে। এদের মধ্যে তিনজন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী ছিলো। তারা একটি নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘুরছিলো। এসময় এক বান্ধবীর ওপর অভিমান করে মৃন্ময় নৌকা থেকে লাফ দেয়। কিন্তু সাঁতার না জানায় আর উঠে আসতে পারেনি সে। পরে বুধবার তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এসএস/জিপি