বুধবার (২১ মার্চ) দুপুর গাজীপুর থেকে ফের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে একথা জানান অ্যানি।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত স্বামী ও শিশু সন্তানের মরদেহ দেখাতে স্বজনরা তাকে গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, অ্যানিকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হলে সঙ্গে সঙ্গে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করলে অ্যানি বলেন, আমি ভালো আছি।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে বাংলাদেশের যে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন অ্যানির স্বামী এফএইচ প্রিয়ক ও ফুটফুটে কন্যা তামাররা প্রিয়ন্ময়ী। বেঁচে যান অ্যানি, শাহীন, শাহরিনসহ ১০ জন। আহতদের মধ্যে তিনজন বাদে বাকি সবাইকে দেশে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরকারের তত্ত্বাবধানে অ্যানিরও চিকিৎসা চলছিল ঢামেকে ওই মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে। সোমবার (১৯ মার্চ) নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রিয়ক ও প্রিয়ন্ময়ীর মরদেহও গাজীপুরে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ দিতে অ্যানিকে ঢামেক থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এজেডএস/ওএইচ/