বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিবৃতিতে মরহুমা কাকন বিবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে কাকন বিবির অবদান যেকোনো পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে কম নয়। তার মতো নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। তার অবদান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা খাকবে।
কাকন বিবির জন্ম মেঘালয়ে। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজরে বাস করতেন। ১৯৭১ সালে তিনদিন বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে যুদ্ধে চলে যান কাকন বিবি। জুনে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন তিনি। বাঙ্কারে আটকে দিনের পর দিন তাকে নির্যাতন করে। ছাড়া পেয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। একইসঙ্গে চালিয়ে যান গুপ্তচরের কাজ। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলার সম্মুখযুদ্ধে কয়েকটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। টেংরাটিলা যুদ্ধের পর আমবাড়ি, বাংলাবাজার, টেবলাই, বালিউরা, মহব্বতপুর, বেতুরা, দূরবীণটিলা, আধারটিলাসহ বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন কাকন বিবি।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২১ মার্চ) রাত সোয়া ১১টার দিকে এই বীরপ্রতীকের মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত সোমবার এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শতবর্ষী কাকন বিবি। এরআগে গত বছর জুলাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কয়েকদিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
পিআর/এএটি