উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত দুই দিনে (২১-২২ মার্চ) কুকুরের কামড়ে এই ২৭ জন আহত হয়েছেন। এদিকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকে না।
ভ্যাকসিন না থাকায় বাইরে থেকে চড়া দামে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে আহতদের। আর সামর্থ্য না থাকায় অনেকে বিপাকে পড়ছেন।
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত উপজেলার বানিয়াখালী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মোস্তফা সিকদার (৪৫) ও খাদা গ্রামের লেহাজউদ্দিন মিয়ার ছেলে কাজল আকন (৬৫) কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আর নাসিমা (১০), সুমি (১২), নিসা (৬), নাইমা (১০), আরিফুল (১০), সামিয়া (১১), শাজাহান (১০), জামিলা (২), তাসলিমা (৪৮), সরোয়ার (৩৫), আল আমিন (৩৫), শামসুন নাহার (৬০), ফাতেমা (১৪), ইমরান (৭), ইয়ামিন, (৯) ও শিমুল (১৪) শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ফোনে বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় আহতদেরকে আমরা বাইরের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা দিয়েছি। দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কুকুরগুলো জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মানুষকে আক্রমণ করছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য সিভিল সার্জন অফিসে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এসআই/এমএইউ/