বৃহস্পতিবার (২২মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে পিয়াসের লাশ আনা হয় তার চিরচেনা ক্যাম্পাসে। এক নজর দেখার জন্য আগে থেকে অপেক্ষায় ছিলেন শিক্ষক, সহপাঠি ও শিক্ষার্থীরা।
কফিন দেখে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তারা। লাশবাহী গাড়িতে পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় ছিলেন। তিনিও অশ্রুসজল নয়নে গাড়ি থেকে নেমে আসেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি শোকে মূহ্যমান।
কিছুক্ষণের জন্য কফিন নামানো হয় ক্যাম্পাসে। কলেজের পক্ষে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সহযোগী অধ্যাপক চিকিৎসক সুভাষ চন্দ্র ভাদুরী। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এ সময়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ১ মিনিট নিরবতা পালন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১টায় পিয়াসের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে পিয়াস রায়সহ ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি ও ১ চীনা নাগরিক মারা যান।
বরিশাল শহরের সুখেন্দু বিকাশ রায়ের সন্তান পিয়াস রায় এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা শেষে নেপাল গিয়েছিলেন ঘুরতে ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এসআই/এমএইউ/