শুক্রবার (২৩ মার্চ) সকালে তার মরদেহ আসার পর প্রথম জানাজা হবে গোমস্তাপুরেই।
এরপর বাদ জুমা রাজশাহীর গৌরহাঙ্গা কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
নেপাল ট্রাজেডির শিকার মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা। তার পৈত্রিক বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বেগুনবাড়ী গ্রামে।
জামাতা এডভোকেট ইমরান আলী বাংলানিউজকে জানান, একই দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী আক্তারা বেগমও নিহত হয়েছেন। মরদেহ দেশে আসার পর গত মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাজশাহীতে দাফন করা হয় তাকে। মরদেহ শনাক্তে জটিলতার কারণে নজরুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনতে বিলম্ব হলো।
এডভোকেট ইমরান আলী বলেন, তার শ্বশুর উপশহরের বাড়িতে থাকতেন। দুই মেয়ে থাকেন ঢাকাতে। গত মঙ্গলবার (২০ মার্চ) আখতারা বেগমকে দাফনের দিন দুই মেয়ে বাড়িটিতে এসেছিলেন। পরে তারা আবার ঢাকায় চলে যান।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) রাত পৌনে ১১টায় তারা সিরাজগঞ্জ অতিক্রম করেছেন। মরদেহ নিয়ে তারা প্রথমে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মরদেহ রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জুমার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে গৌরহাঙ্গা কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তার স্ত্রী আখতারা বেগম রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সম্প্রতি অবসরে যান। অবসর যাপনে নেপালে ঘুরতে যাচ্ছিলেন তারা।
গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবনে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার ওই প্লেনে রাজশাহীর তিন দম্পতিসহ মোট সাতজন ছিলেন। অন্য তিনজন হলেন- রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরানা কবির হাসি, তার স্বামী রকিবুল হাসান ও মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকার গোলাম কিবরিয়ার নিউইয়র্ক প্রবাসী বিলকিস আরা মিতু।
রাজশাহীর এই সাতজনের মধ্যে বেঁচে আছেন কেবল হাসি। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলছে তার। তবে হাসির বাম হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়েছে। আর নিহত হাসান ইমাম, তার স্ত্রী বেগম হুরুন নাহার ওরফে বিলকিস বানু ও মিতুকে দাফন করা হয়েছে ঢাকায়।
গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন। এতে নিহত হন প্লেনের পাইলট ও কো-পাইলটসহ ৫১ জন। এদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এসএস/এসআই/এমএইউ/