শুক্রবার (২৩ মার্চ) সকালে স্থানীয় সুরজিৎ বাগচির দুই মেয়ের ঘুম থেকে জেগে বিছানায় শুয়েই দেখতে পায় ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলছে একটি বিষধর গোখরা। উপায় না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তারা খবর দেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে।
কিন্তু প্রশিক্ষণ না থাকায় ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে আসলেও সাপ উদ্ধারে ধরাশায়ী হলেন। এ সময় সাপটি পিটিয়ে মারতে এলাকাবাসী উদ্যত হলেও শেষ রক্ষায় এগিয়ে গেলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক সংবাদ কর্মী। তিনি টেলিভিশনটির রাজশাহী প্রতিনিধি আবরার শাঈর। তার সহায়তায় ডেকে আনা হয় সাপ বিষয়ে অভিজ্ঞ রাজশাহীর পবা উপজেলার বোরহান বিশ্বাসকে।
রুদ্ধশ্বাস এক ঘণ্টার চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত কোনো ক্ষয়-ক্ষতি ছাড়াই জীবিত উদ্ধার করা হয় গোখরা সাপটিকে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, যে কোনো সাহায্যের জন্য মানুষ ফায়ার সার্ভিসকেই পাশে পায় সুতরাং তাদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কুমারপাড়া এলাকার ওই পুরোনো বাড়িটির ঘরের তীরের সঙ্গে একটি বড় গোখরা সাপ দেখতে পান সুরজিৎ বাগচির পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও এ বিষয়ে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ না থাকায় সাপটিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
কখন কীভাবে ওই সাপটি ঘরের ভেতরে ঢুকেছে তা কেউ বলতে পারেননি। পরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক সংবাদ কর্মীর সহযোগিতায় ডেকে আনা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার সাপ বিষয়ে অভিজ্ঞ বোরহান বিশ্বাসকে। পরে এক ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস চেষ্টার পর সাপটিকে জীবত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যান তিনি। তার সাপের খামার রয়েছে বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।
গৃহকর্তা সুরজিৎ বাগচি বলেন, যেহেতু যে কোনো দুর্যোগে সাহায্যের জন্য মানুষ সবার আগে ফায়ার সার্ভিসকেই পাশে পায়। সুতরাং তাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। কারণ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে যেন তারা উদ্ধারে এগিয়ে আসতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এসএস/আরআইএস/