শুক্রবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রওয়ানা হয়ে ২টার পর উত্তরার বাসায় পৌঁছায়। অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন আফসানা ও আবিদের স্বজনরা।
উত্তরায় স্বজনদের কাছে আনার পর আফসানার নামাজে জানাজা পার্শ্ববর্তী মসজিদ প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হবে। এরপর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বাদ আসর স্বামী আবিদের কবরের পাশেই চিরশায়িত করা হবে তাকে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আফসানা। প্লেন দুর্ঘটনায় আবিদ সুলতানের মৃত্যুর পর তার শোকে গত ১৮ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, তারপর থেকে আফসানা এই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১ এর পাইলট ছিলেন আবিদ। দুর্ঘটনার পর থেকেই ভীষণ চিন্তিত ছিলেন আফসানা। প্রথমে তাকে বলা হয়েছিল, আবিদ আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু পরে তার মৃত্যুর খবর আসে। এতে ভেঙে পড়েন আফসানা।
মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণাবোধ হলে ১৮ মার্চ তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন জানানো হয়, তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। সবশেষ ২০ মার্চ হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, আফসানার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ও অপরিবর্তিত রয়েছে। তার ব্রেইন কাজ করছে না। ন্যাচারাল ডেথ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ডেথ ঘোষণা করা যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানোই গেলো না।
আবিদ ও আফসানা দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছে। নাম তানজিদ সুলতান। সে উত্তরায় নানার বাসায় থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমএসি/এইচএ/
** উত্তরার বাসায় নেওয়া হচ্ছে আবিদপত্নী আফসানার মরদেহ
** স্বামী আবিদের পাশেই চিরশায়িত হবেন আফসানা
** স্বামীর শোকে চলেই গেলেন আবিদ সুলতানের স্ত্রী