এর আগে সকাল ১০টার দিকে বরিশালের নতুবাজার সংলগ্ন শ্মাশানে নিহত পিয়াস রায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয়। ধর্মীয় রীতিনীতির সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় চিতায় আগুন ধরিয়ে দেন।
১৬ মার্চ দুপুরে ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজের তত্ত্বাবধায়নে একটি ফ্লাইটে পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় নেপালের গেলেও ছেলের মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। পরে মরদেহ শনাক্তের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১৯ মার্চ বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায় দেশে চলে আসেন।
পরবর্তীতে ২১ মার্চ পিয়াসসহ তিনটি মরদেহই শনাক্ত হয় এবং ২২ মার্চ বিকেলে নেপাল থেকে দেশে আনা হয় মরদেহগুলো। এদের মধ্য থেকে পিয়াসের মরদেহ বুঝে নেওয়ার পর তা মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে ঢাকা থেকে সরাসরি গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে পিয়াস রায়কে শেষ বিদায় জানায় সহপাঠী, শুভাকাঙ্গী ও শিক্ষকরা।
সেখানে থেকে পিয়াসের মরদেহ বরিশালের বাড়িতে শুক্রবার (২৩ মার্চ) ভোরে ৩ টায় এসে পৌছায়। পরে সকাল ৮টায় পিয়াসের মরদেহ নেওয়া হয় বরিশাল জিলা স্কুলের মাঠে। সেখানে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান তার স্কুলজীবনের সহপাঠী ও শিক্ষকরা। মরদেহবাহী গাড়ির সঙ্গে পিয়াসের বাবা সুখেন্দু বিকাশ রায়ও আসেন ছেলের এ বিদ্যালয়টিতে। ছেলে হারানোর শোকে মুহ্যমান বাবা খানিক সময়ের জন্য সহপাঠী ও শিক্ষকদের কাতারে এসে দাঁড়ান অশ্রুসজল নয়নে। শ্রদ্ধা জানানোর পর বরিশালের মহাশ্মাশানে নেওয়া হয় পিয়াস রায়ের মরদেহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমএস/এএটি