শুক্রবার (২৩ মার্চ) বাদ জুমা জেলার রূপসা উপজেলার বেলফুলিয়া ইসলামীয়া হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে রাজাপুর মাদরাসা গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
মরহুম আলিফের জানাজার নামাজে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরাফাত হোসেন পল্টু, বর্তমান সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ খান প্রমুখ।
এর আগে শুক্রবার (২৩ মার্চ) ভোর পৌনে ৫টায় খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছে আলিফের মরদেহ।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে নজরুল ইসলাম, পিয়াস রায় ও মোহাম্মদ আলিফুজ্জামানের মরদেহবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৭২ ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে আলিফুজ্জামানের বড় ভাই আশিকুর রহমান হামিম এবং তার স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।
সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলিফুজ্জামানের নামাজের জানাজা শেষে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয় মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত আলিফুজ্জামান। খুলনার সরকারি বিএল কলেজ থেকে এবার মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আলিফুজ্জামান ছিলেন মেঝ। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা আসাদুজ্জামান।
গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি ও ১ চীনা নাগরিক নিহত হন। হতভাগ্য ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে আলিফ একজন, যাদের মরদেহ সবার শেষে শনাক্ত হওয়ায় দেশে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস