সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ক্রেমলিন দাবি করেছে খবরটির কোনো সত্যতা নেই। এই কথা বলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত সহকারী দিমিত্রি পেশকভ।
পশ্চিমা মিডিয়া এর আগে দাবি করেছিল, সের্গেই স্ক্রিপাল নাকি ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে দেশে ফেরার সুযোগ চেয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিন দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক এই রুশ গুপ্তচরকে সে সুযোগ দেননি।
এ প্রসঙ্গে সের্গেই স্ক্রিপালের ক্লাশমেট ও বাল্যবন্ধু ভ্লাদিমির তিমোশকভ ‘বিবিসি ব্রডকাস্টার’কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ ২০১২ সালে একবার টেলিফোনে কথা বলার সময় সে (স্ক্রিপাল) আমাকে জানায় সে নাকি ওই বছরের কোনো এক সময় ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে তার ভুলের (অপরাধের) জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে দেশে ফেরার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পুতিনের তাতে মন গলেনি। ’’
ভ্লাদিমির তিমোশকভের এই বক্তব্যকে অসত্য বলে দাবি করে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, ‘‘না, একথা সত্য নয়। ’’
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে যুক্তরাজ্যের পক্ষে কাজ করা ও স্পর্শকাতর রাষ্ট্রীয় তথ্য পাচার করার অপরাধে ২০০৬ সালে রাশিয়ার আদালতে সের্গেই স্ক্রিপালকে দণ্ডিত করা হয়। এরপর যুক্তরাজ্য-রাশিয়ার মধ্যে গুপ্তচর বিনিময় সমঝোতার আওতায় ২০১০ সালে তাকে তুলে দেওয়া হয় যুক্তরাজ্যের হাতে। সেই থেকে গত ৮টি বছর যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন স্ক্রিপাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
জেএম