২৫ মার্চ বিশ্বে মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে নিরস্ত্র-নিরীহ বাঙালির উপর নির্বিচারে চালায় বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যাযজ্ঞ।
২৫ মার্চ কালরাতে শুরু হওয়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা চলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার সেই নৃশংস ঘটনার স্মরণে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা হয় গত বছরের ১১ মার্চ। সে অনুসারে গত বছরই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন হয়। এবারও ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
এবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট আলো নিভিয়ে অন্ধকারে গণহত্যার প্রতিবাদ এবং শহীদদের স্মরণ করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আর্কষণের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘোষিত এই কর্মসূচিতে সারাদেশের মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আলো নিভিয়ে নীরবতা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোর মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। সিপিবি-বাসদের এ যৌথ আলোর মিছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের সামনে থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এসকে/এইচএ/