শনিবার (২৫ মার্চ) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় চার দিনব্যাপী সেমস গ্লোব্লাল আয়োজিত ঢাকা বাইক শো’ শেষ হয়েছে।
আলাপকালে এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের বাইকারদের নিয়ে আমাদের ধারণা সবসময় ইতিবাচক নয়।
তিনি বলেন, আমরা বাইক চালানোর কথা চিন্তা করলে দুর্ঘটনার কথাই বেশি বিবেচনা করি। কিন্তু এই ধারণা পাল্টে দিতে বা বদলাতে ২৬ মার্চে বাইকার স্বাধীনতার শপথ (নিরাপদ পথ চলার অঙ্গীকার) করানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ামাহা।
নিরাপদে পথ চলার অঙ্গীকারে স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড গড়া হবে। এগুলো হলো, একসঙ্গে সর্বোচ্চ সংখ্যক মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন স্টার্ট, মোটরসাইকেলের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট নকশা অঙ্কন এবং মোটরসাইকেল দিয়ে তৈরি বৃহত্তম ‘ইয়াহামা’ লোগো।
এসিআই মোটরস’র এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে ‘ইয়ামাহা ঢাকা বাইক কার্নিভাল’র বাংলাদেশের বাইকারেদর জন্য একটি বিশাল প্ল্যাটফর্ম ছিল এবং ঢাকা বাইক কার্নিভালের প্রতি বাংলাদেশের বাইকারেদের আশানুরূপ সাড়া বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত কর্মসূচির প্রেরণা জুগিয়েছে।
গত বছর ইয়ামাহা ঢাকা বাইক ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে। ব্যবসা বৃদ্ধির দিকে খুব বেশি মনোযোগ না দিয়ে দেশ এবং মানুষকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাটাই ইয়ামাহার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাইকের প্রতি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণের ভালোবাসাই ইয়ামাহাকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রেরণা জুগিয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ভাবেও বাইক বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীর অনেক দেশই এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশগুলোতেও স্থাপিত হয়েছে বাইকের আধিপত্য। বাইক সময় বাঁচায় এবং আধুনিকতার সঙ্গে চালকদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে ওঠাতে বাড়ছে বাইকের ব্যবহার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এসই/এসএইচ