সারাদেশের স্কুল-কলেজ পর্যায়ের প্রায় তিন হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। দেশব্যাপী এ আয়োজন থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭০০টি এবং পুরস্কার প্রদানের জন্য ২০ জন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
শনিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে কলেজ প্রাঙ্গনে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। এসময় প্রত্যেক বিজয়ীকে একটি সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও এক হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। পাশাপাশি মোড়ক উন্মোচন করা হয় প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ ‘চেতনা’র।
প্রতিযোগিতার প্রথম বিজয়ী রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী ফাহমিনা নাজনিন বাংলানিউজকে জানায়, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য অনন্য। সেই ভাষণ নিয়ে রচনা লেখা অনেকটা দুঃসাহস করার মতোই ব্যাপার। তবে তা লিখতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিয়াল কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সৈয়দ রেজাউল রহমান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এমএ মান্নান বলেন, শিক্ষার্থীদের জোর করে চাপিয়ে দিয়ে ভালো কিছু পাওয়া যায় না। বরং তাদের স্বাধীনভাবে সৃজনশীলতার সুযোগ করে দিতে হবে। তবেই তাদের কাছ থেকে ভাল কিছু পাওয়া যাবে। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সৃজনশীলতার অনন্য এক প্রতীক। এ ভাষণ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
আয়োজন সম্পর্কে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন। এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পর্কে নতুন চেতনা এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এইচএমএস/এনটি