শনিবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাত পৌনে ৩ টার দিকে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
তিনি জানান, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
বিস্ফোরণের প্রাথমিক ঘটনা প্রবাহ অনুযায়ী এটি জঙ্গি আস্তানা কিনা এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপ-পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) প্রলয় কুমার জোয়ার্দার জানান, গ্যাস সিলিন্ডার থেকেও বিস্ফোরণ হতে পারে। আবার জঙ্গি আস্তানাও হতে পারে। কোনো বিষয়ই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রকিবুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, বিস্ফোরণে ওই ভবনের ৩ তলার দেয়াল ও করিডোর একেবারে ভেঙে পড়েছে।
বিস্ফোরণের পর অগ্নিদগ্ধ ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকী তিনজনের মধ্যে পুলিশী হেফাজতে দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ও একজনকে ঢাকা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন আব্দুর রশিদ।
এর আগে শনিবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাত ১ টার দিকে স্থানীয় মাস্টারবাড়ি এলাকার ওই ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর থেকেই পুলিশ সদস্যরা বাড়িটির চারপাশ ঘিরে রাখেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত স্থানীয় মাস্টারবাড়ি এলাকায় ছুটে যান ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা আসার পর জঙ্গি আস্তানা কিনা এটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময় ০৩৪৭ ঘন্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এমএএএম/এসআইএস