তবে পুরো ভবনটি বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
এর আগে রাত ১ টার দিকে ওই ভবনটিতে বিস্ফোরণে একজন নিহত ও তিনজন আহত হন।
ঘটনার পর পরই ময়মনসিংহ থেকে ভালুকায় ছুটে যান এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করেন। ভবন ঘুরে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ৬ তলা ভবনটির তৃতীয় তলার পেছনের পার্টিশন ওয়াল ও জানালার গ্লাস ভেঙে গেছে। জানালার অ্যালুমিনিয়ামের স্ট্রাকচারও পড়ে আছে।
এসপি জানান, একটি জানালা ও বারান্দার ৫০ কেজি ওজনের গ্রিল কমপক্ষে ৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এমনটি ঘটেছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাস বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এটি সিলিন্ডার কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে এটি জঙ্গি আস্তানা ছিল কিনা এ বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে এ বিষয়টি আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ভবনটির তৃতীয় তলায় চারজন শিক্ষার্থী থাকতেন। তারা মাস্টার্স সম্পন্ন করে স্থানীয় টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্ন করছিলেন।
এদিকে, এ বিস্ফোরণের খবরে বাড়িটির চারপাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এখানে এসে পৌঁছানোর পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময় ০৪৩০ ঘন্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এমএএএম/এসআইএস