সোমবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের গাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাঙ্গরমুখ এলাকার কাদেরিয়া মুঈনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আটটি মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত ৯ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের ছগির আহমেদের মেয়ে হাসিনা আক্তার (৪০), একই ইউনিয়নের আহমদ শফির মেয়ে রশিদা আক্তার (৫০), ঢেমশা ইউনিয়নের মো. হাসানের স্ত্রী রিনা বেগম (৩০), একই ইউনিয়নের আবুল কালামের স্ত্রী সাকি (২২), লোহাগাড়ার কলাউজান ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের মেয়ে টুনটুনি (১৩), একই ইউনিয়নের আবদুল হাফেজের স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫), মো. আলাউদ্দিনের মেয়ে নুর জাহান (১৮), বান্দরবানের মো. ইব্রাহীমের স্ত্রী নুর আয়েশা (৬০) এবং দোহাজারীর নুরুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০)।
ঘটনাস্থলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে ইফতার সামগ্রী নিতে আসা নারীদের ভিড় বাড়ছিল। এক পর্যায়ে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে অস্থায়ী গেট ভেঙে পড়ে। এসময় ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে সামনে যারা ছিল তারা পদদলনের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই আটজনের মরদেহ পাওয়া যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ১০-১৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কেএসআরএমের মালিক গ্রামের বাড়িতে যাকাত দিচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ স্থানীয় মাদ্রাসার মাঠে জড়ো হন। অনেকে রোববার (১৩ মে) রাত থেকে এজন্য ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করতে থাকেন।
তিনি জানান, অতিরিক্ত ভিড়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হিটস্ট্রোকে ১০ নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর দাবি, হিটস্ট্রোকে নয়, পদদলিত হয়েই ১০ নারী-শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদারও পদদলনে মৃত্যুর কথাই বলেছেন।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, সাতকানিয়ায় পদদলিত হয়ে আহত মোস্তফা খাতুনকে (৫০) বিকেল সোয়া চারটায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮/আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা
এআর/টিসি/জেএম