রোববার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে এলাকার ৫৪/২ নম্বর ৫তলা বাসার তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১২টার দিকে আনিকাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মানিকনগর গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে আনিকা। বাবা বাহরাইন প্রবাসী। মা রেহেনা আক্তার বড় ছেলে রবিউল ইসলামকে নিয়ে থাকেন গ্রামের বাড়িতে। আনিকা দীর্ঘদিন ধরে যাত্রাবাড়ীতে খালা শাহনাজ পারভিনের বাসায় থাকতেন।
খালাতো ভাই রুহুল আমিন জানান, টিকাটুলি সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলো আনিকা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাসায় থেকেই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো আনিকা।
তিনি আরো বলেন, ভোরে ওয়াশরুমে যায় আনিকা। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও বের না হওয়ায় পরে ওয়াশরুমের দরজা ভেঙে ঝরনার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।
এদিকে সকালে ঘটনা ঘটলেও দেরি করে হাসপাতালে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ভাই রুহুল আমিন জানান, ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানোর পরই তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেই তা বোঝা যায়। পরে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিলো। কিন্তু পুলিশি প্রক্রিয়া থাকায় আনিকার মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ফাঁস দেওয়ার কারণ জানাতে না পারলেও প্রেমঘটিত কোনো কারণে আনিকা আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা স্বজনদের।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এজেডএস/জেডএস