রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার পলাশবাড়ি ডগরতলি এলাকায় ও সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজাশন মোল্লাবাড়ি বিলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- আশুলিয়ার পলাশবাড়ি ডগরতলি এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. সেলিম হোসেন সোহাগ (১২), প্রতিবেশী বন্ধু মাসুদ রানা (১১) ও সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজাশন মহল্লার আবুল কালামের ছেলে মো. চয়ন (১৬)।
নিহত সোহাগের ভগ্নিপতি কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে পলাশবাড়ি ডগরতলি এলাকায় নদীতে গোসল করতে যায় সোহাগ ও তার বন্ধু রানা। একপর্যায়ে তারা স্রোতের মধ্যে হারিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও কোনো সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।
খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে প্রথমে সোহাগকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. গৌতম কুমার ঘোষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর মাসুদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ডুবরি দলের লিডার আব্দুস সালাম নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজাশন মহল্লার আবুল কালামের ছেলে চয়ন স্থানীয় মোল্লাবাড়ি বিলে বন্ধুদের সঙ্গে নৌকা নিয়ে ঘুরতে যায়। রাতে বাসায় ফেরার সময় লগি দিয়ে নৌকা চালানোর একপর্যায়ে উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে ছিটকে পানিতে পড়ে যায় সে। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মাইনুল হক হৃদয় (১৬) নামে এক ছাত্রকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
আরবি/