খিলগাঁও থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই নারীর ভাই নিতে আসেন।
প্রতিবন্ধী ওই নারীর ভাই বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার খিলগাঁও বাসা থেকে বের হয়ে হয়ে নিখোঁজ হন তার বোন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আদালতের নির্দেশে ওই নারীকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ পেলে তাকে তার ভাই ও পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে।
এর আগে, এ ঘটনায় আটক চালকের সহকারী নাজমুল শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় আদালতে জবানবন্দি দেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্তে টহলরত পুলিশ দল ওই এলাকার নৈশপ্রহরী শাহ আলমের মাধ্যমে জানতে পারে যে, বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসের ভেতর নারীর কান্না শোনা যাচ্ছে। খবর পেয়ে ওই টহলদল বাসটিতে গিয়ে প্রতিবন্ধী এক নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ওই বাস চালকের সহকারী নাজমুলকে আটক করে।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) উপ-পরিদর্শক নুরে আলম বাদী হয়ে বাসচালক আলম ও আটক নাজমুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চালক আলমের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণ এবং সহকারী নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজমুলকে ওই মামলায় টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আশিকুজ্জামান তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
** বাসে একা পেয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এসআরএস