রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত সায়েদা হত্যা মামলার বাদী ও সায়েদার ভাতিজা সাবেক ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সায়েদা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর থেকে মামলার আসামি প্রভাবশালী ইউনুস গং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। বিভিন্ন সময় আসামিরা তাদেরকে মারধোরসহ হয়রানি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের উদ্দেশ্যে একটি মিথ্যা ভিডিও প্রকাশ ও গোটা উপজেলায় পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে মামলার বাদীসহ সায়েদার স্বজনদের হেনস্তা করা হয়। মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা বদরগঞ্জ থানার ওসি আনিছুর রহমান কেবল আসামিপক্ষের সাক্ষী নিয়েছেন। অথচ এখনও বাদী পক্ষের কোনো সাক্ষী নেওয়া হয়নি।
এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্তসহ এরসঙ্গে জড়িত আসামিদের শাস্তি দাবি করেন মমিনুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সায়েদার ভাই অহিদুল হক, বোন জাহেদা খাতুন, বোন রওশনারা খাতুন, নাতি লিমন বাবু, নাতনি শারমিন আকতার, এলাকাবাসী আ. মান্নান, মোকসেদ আলি, আ. ছালেক, মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
বদরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শাহিনুর আলম জানান, মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউপির কাঁচাবাড়ি বানিয়াপাড়ায় সায়েদা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এনএইচটি