সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির বিএসএফ'র চাওলা ক্যাম্পে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হবে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অপরদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এ সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় প্রসঙ্গে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা বা আহতের ঘটনা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মাদকদ্রব্য চোরাচালান, নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
এছাড়া সীমান্তে ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’র আওতা বৃদ্ধি, উভয় দেশের সীমান্ত নদীগুলোর তীর সংরক্ষণ ও পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়েও বৈঠকে আলোকপাত করা হবে।
ভারত সফরকালে বিজিবি মহাপরিচালক ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে ৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ প্রীতি বাস্কেটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ৭ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স-জেআরডি) স্বাক্ষরিত হবে।
সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলেও জানান মোহসিন রেজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
পিএম/এএ
