রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সাতরাস্তা-তেজগাঁও সড়ক পরিদর্শন করে এ কথা বলেন প্যানেল মেয়র। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন, শফিউল্লাহ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান ট্রাক পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মকবুল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব ।
প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক নগরীতে রূপান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ থেকে আনিসুল হকের মতো একজন যোগ্য ব্যক্তিকে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর জনগণের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে আনিসুল হক এই সড়কটি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মুক্ত করেছিলেন। ভবিষ্যতেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই সড়কটি জনগণের চলাচলের জন্য দখলমুক্ত রাখবে।
প্রয়াত আনিসুল হক যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেসব উদ্যোগ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে ঢাকা শহরসহ সারাদেশে বিপুল উন্নয়ন হচ্ছে।
সেজন্য তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
প্যানেল মেয়র বলেন, মেয়র আনিসুল হক সড়ক যেকোনো মূল্যে দখলমুক্ত রেখে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
সভায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশে করপোরেশনের সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই সড়কটি জনগণের। জনগণের রাস্তা যেন ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের হয়ে না যায়।
বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি তালুকদার মো. মনির জানান, এই সড়কটি দখলমুক্ত রাখতে ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক ও শ্রমিকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি এই এলাকায় একটি বহুতলবিশিষ্ট ট্রাক-কাভার্ডভ্যান টার্মিনাল নির্মাণেরও দাবি জানান।
দীর্ঘদিন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের দখলে থাকা এই সড়কটি ২০১৫ সালে অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
এসএম/এইচএ/