ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৬ দিনে বিল লাখ টাকা, হাসপাতালে নবজাতক রেখে মা-বাবা উধাও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
৬ দিনে বিল লাখ টাকা, হাসপাতালে নবজাতক রেখে মা-বাবা উধাও কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হসপিটাল, ছবি: বাংলানিউজ

কুমিল্লা: কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলার সিবিক স্কয়ারের ‘কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হসপিটালে’ মাত্র ৬ দিনে প্রায় এক লাখ টাকা বিল এসেছে দেখে ১৬ দিনের ছেলে নবজাতককে ফেলে রেখে উধাও হয়ে গেছেন তার মা-বাবা। ঘটনাটি এখন নগরীজুড়ে ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়েছে।

লোকমুখে যেমন নবজাতকটির মা-বাবার মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তেমনি একটি বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালে মাত্র ছয় দিনে কি করে এতো বেশি বিল আসলো তা নিয়েও কঠোর সমালোচনা হচ্ছে।

জানা যায়, নবজাতকটি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা গ্রামের শাহ আলম ও রোকেয়া বেগমের।

এর আগে তাদের তিনটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার আগেই নষ্ট হয়েছিল। পরে ওই নবজাতকটি স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিলেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে তাকে গত ১৮ আগস্ট কুমিল্লা মা ও শিশু স্পেশালাইজড হসপিটালে নিয়ে যান তার মা-বাবা। সেখানে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হয় নবজাতকটিকে। একপর্যায়ে ২৪ আগস্ট হাসপাতাল থেকে তারা জানতে পারেন, ৯৭ হাজার ৩৯৯ টাকা বিল হয়েছে। তখন টাকা দেওয়ার কোনো পথ না পেয়ে নবজাতককে ফেলে রেখেই উধাও হয়ে যান শাহ আলম ও রোকেয়া।

এদিকে, অনেক খোঁজ করেও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বদিউল বাংলানিউজকে বলেন, নবজাতকের চিকিৎসায় ১৮ তারিখ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ওই বিল হয়েছে।  কিন্তু নবজাতকটির মা-বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কোতয়ালি থানায় জিডি করেছি। এছাড়া নবজাতকটি এখনও এনআইসিইউতেই রয়েছে।  সবমিলিয়ে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকা বিল হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হাসপাতালের এতো বেশি বিল না দিতে পেরেই উধাও হয়ে গেছেন নবজাতকের মা-বাবা।

বেশি বিল হওয়ার প্রসঙ্গে বদিউল বলেন, এনআইসিইউতে অক্সিজেন সরবরাহ, মেডিসিন, সার্ভিস চার্জ ও চিকিৎসক ভিজিট রয়েছে। তাই বেশি বিল আসছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় জিডি করেছে। যদি নবজাতকের মা-বাবা না আসেন তাহলে লালনপালনের জন্য আদালতের মাধ্যমে কেউ তাকে নিতে চাইলে নিতে পারবে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি এখন শুনলাম মাত্র। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।