লোকমুখে যেমন নবজাতকটির মা-বাবার মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তেমনি একটি বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালে মাত্র ছয় দিনে কি করে এতো বেশি বিল আসলো তা নিয়েও কঠোর সমালোচনা হচ্ছে।
জানা যায়, নবজাতকটি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা গ্রামের শাহ আলম ও রোকেয়া বেগমের।
এদিকে, অনেক খোঁজ করেও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বদিউল বাংলানিউজকে বলেন, নবজাতকের চিকিৎসায় ১৮ তারিখ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ওই বিল হয়েছে। কিন্তু নবজাতকটির মা-বাবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কোতয়ালি থানায় জিডি করেছি। এছাড়া নবজাতকটি এখনও এনআইসিইউতেই রয়েছে। সবমিলিয়ে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকা বিল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হাসপাতালের এতো বেশি বিল না দিতে পেরেই উধাও হয়ে গেছেন নবজাতকের মা-বাবা।
বেশি বিল হওয়ার প্রসঙ্গে বদিউল বলেন, এনআইসিইউতে অক্সিজেন সরবরাহ, মেডিসিন, সার্ভিস চার্জ ও চিকিৎসক ভিজিট রয়েছে। তাই বেশি বিল আসছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় জিডি করেছে। যদি নবজাতকের মা-বাবা না আসেন তাহলে লালনপালনের জন্য আদালতের মাধ্যমে কেউ তাকে নিতে চাইলে নিতে পারবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি এখন শুনলাম মাত্র। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
টিএ