পুলিশ, এলাকাবাসী ও যাত্রীরা জানান, গত কয়েক দিন ধরে গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তেমন কোনো যানজট নেই। যাত্রীবাহী যানবাহনও খুব কম চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
আগে মহাসড়ক দু’টিতে লেগুনা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও টেম্পো চলাচল করতো। গত কয়েকদিন ধরে এসব যানবাহন মহাসড়কে নেই বললেই চলে। এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করেছে বাসগুলো। ১০ টাকার ভাড়ার যায়গায় নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা।
এতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয় হাজার হাজার যাত্রীকে। বাধ্য হয়ে পিকআপযোগে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন অনেক যাত্রী।
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী মো. আফছার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কোনাবাড়ী যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। বাসের সংখ্যা খুব কম। আগে লেগুনা চলতো অহরহ। এখন মহাসড়কে লেগুনা, অটোরিকশা ও টেম্পো নেই। ফলে বাধ্য হয়ে ১০ টাকার ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা দিতে হচ্ছে। তবে মহাসড়কে কোনো যানজট না থাকায় একটু স্বস্তিতে চলাচল করতে পারছি। অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে না।
কোনাবাড়ী থেকে ঢাকার উত্তরাগামী মো. সানি আহমেদ নামে এক যাত্রী বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু বাস খুব কম চলাচল করছে। এ সুযোগে বাস চালকরা মহাখালী পর্যন্ত যেখানেই যাই না কেন সিট প্রতি ভাড়া ১০০ টাকা দাবি করছে। যানবাহন সংকট ও ভাড়া বেশি থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালেহ্ উদ্দিন আহমেদ জানান, যাত্রীবাহী গাড়ি মহাসড়কে খুব কম এটা ঠিক। যেসব গাড়ির কাগজপত্রের সমস্যা ও ফিটনেস নেই সেইসব গাড়ি মহাসড়কে নামছে না।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে মহাসড়কে ৫০ ভাগেরও কম যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করছে। তবে এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ জেনেছি। ভ্রমমাণ আদালত পরিচালনা করলে হয়তো এ সমস্যা সমাধান হতে পারে। তবে এ মহাসড়ক দু’টিতে একেবারেই যানজট নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৮
আরএস/এনএইচটি