তাকে হাসপাতালের ‘পোস্ট অপারেটিভ’ ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তদরকি করছেন।
তুলির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রোববার জানান, ছুরিকাঘাতে তুলির খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে।
অপরদিকে দরিদ্র্য পরিবারের মেয়ে হওয়ায় তুলির চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া পৌরশহর এবং তার নিজ ইউনিয়নে সচেতন মহল প্রতিনিধিরা আর্থিক সহায়তা সংগ্রহ করছেন।
তুলি ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে পুলিশের উদ্যোগে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে নিয়ে ধুলাসার আলহাজ জালাল উদ্দিন কলেজ মিলনায়তনে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তুলি ওপর হামলার ঘটনার বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশকিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে। সহযোগী রনি গাজীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ধুলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম ধুলাসার গ্রামের দিনমজুর নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়ে তুলি আক্তারকে দীর্ঘদিন ধরে একই ইউনিয়নের পূর্বধুলাসার গ্রামের দিনমজুর সোলায়মান মিয়ার ছেলে মো. নাঈম হোসেন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিদ্যালয় চত্বরে বসে অপর সহযোগী ধুলাসারের সোহাগ গাজীর ছেলে রনি গাজীকে সঙ্গে নিয়ে তুলির উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। তুলির অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ দেখে সহযোগী রনি গাজী হোন্ডাসহ পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক সহপাঠীরা নাঈমকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়। পরে তুলিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএস/এসএইচ