সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীব (১২) নামে এক শিশু মারা যায়।
রাজীব গাইবান্ধা জেলার তালুক বেলকা গ্রামের খসরু মাহমুদের ছেলে।
এর আগে রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সিও বাজার এলাকায় অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গিয়ে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যান। এ ঘটনায় দুই বাসের অন্তত ২৪ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুক বর্মন গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী রোকসানা (২০), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী অমিজন (৪৫), পঞ্চগড়ের শাহীন মিয়া (১২), ঠাকুরগাঁও জেলার ভুল্লী এলাকার মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৭০), নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের নয়নখাল গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নুরবানু (৪৫), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী সুমি আক্তার (২২) ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ফেলকি (৫০)।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহেযাগিতায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল মান্নাফ কবিরকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আবু মারুফ হোসেন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবু রাফা মো. আরিফ। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা অনুদান ও আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফ বাংলানিউজকে বলেন, ঘাতক বাস দু’টি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। চালক ও সহকারীর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আহতদের সুচিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
আরবি/