কিন্তু এলাকার কতিপয় অসাধু লোক পানির এই প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে অবৈধ সুতি জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে যাচ্ছে। এসব সুতি জালের ফাঁদ থেকে বাদ যায় না ছোট-বড় কোনো মাছই।
সরেজমিন দেখা যায়, আত্রাই উপজেলার লালপাড়া গ্রামের নাগর নদীতে সুতি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন ওই গ্রামের কিছু অসাধু লোক। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন নদী ও বিলের প্রায় ছয়টি পয়েন্টে অবৈধভাবে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
স্থানীয় ওই অসাধু চক্রটি নদীগুলোর দুই তীর থেকে শুরু করে মাঝখানের ১০ হাত যায়গা বাকি রেখে বাঁশ-চাটাইয়ের বেড়া বসিয়ে দেয়। ফলে শুধুমাত্র ফাঁকা ১০ হাত জায়গা দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আর সেখানে ওই সুতি জাল পেতে রাখে তারা। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর পর পুরো জাল ভর্তি করে মাছ ওঠে। আবার যখন পানি প্রবাহ আরও বেশি থাকে তখন একটি জাল ফেলতে না ফেলতেই মাছে ভরে যায় জাল। যেখানে তাদের হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ মণ মাছ ধরা পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ জেলেরা।
এ বিষয়ে জেলার আত্রাই উপজেলার নাগর নদীর লালপাড়া মাছ ধরা পয়েন্টের ওই চক্রের সদস্য সেন্টু বাংলানিউজকে জানান, আমরা এলাকার কিছু গরীব লোক মিলে এবারই প্রথম এই পদ্ধতিতে মাছ শিকার করছি। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে আত্রাই উপজেলার অনেকেই মাছ শিকার করে। প্রশাসন তাদের কিছুই বলে না।
নওগাঁ জেলা প্রসাশক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সুতি জাল দিয়ে নদীর পানিপ্রবাহ রোধ করে মাছ শিকার করা অপরাধ।
অবৈধভাবে মাছ ধরার কাজ বন্ধ করতে দফায় দফায় জেলা প্রশাসন সুতি জাল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এর মধ্যেও জেলার বেশ কিছু পয়েন্টে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এ অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। কেউ কোনোভাবেই অবৈধভাবে নদীতে মাছ শিকার করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
আরএ