সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঈন উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৮ আগস্ট দিনগত রাতে হিজলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে খুন করা হয় ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শহিদকে।
পরিদর্শক জানান, শহিদ মোল্লা খুন হওয়ার পর স্ত্রী খালেদা বেগম যে বক্তব্য দেন তার ওপর ভিত্তি করে তদন্তে নেমে ভিন্ন আলামত পাওয়া যায়। পরে নিহতের স্ত্রী খালেদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী রোববার দিনগত রাতে আল আমিন নামে এক যুবককে আটক করা হয়। যার বাড়ি নিহতের বাড়ির প্রায় কাছাকাছি।
স্বামীর খুনের ঘটনায় খালেদা ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়ে ওসি আরও জানান, আল আমিন ওরফে মুন্না মাসকাটা গ্রামের মৃত মানিক কাজীর ছেলে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খালেদা ও আল আমিন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে, যাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি তদন্ত মঈন উদ্দিন।
এদিকে মামলা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহিদ হত্যার পেছনে তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জড়িত রয়েছে। প্রথম স্ত্রী খালেদা যখন জানতে পারে তার স্বামী শহিদ ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছে, তখন থেকেই তার স্বামীর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন।
তবে এটিই হত্যার মূল কারণ না অন্য কোনো বিষয় রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শহিদ ঢাকায় গার্মেন্টস সেক্টরের ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি কোরবানির ঈদে বাড়িতে আসেন। গত ২৮ আগস্ট রাতে শহিদ ও তার স্ত্রী খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। শহিদকে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
এমএস/আরআর