মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে অনেকটা এগিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের নিজনগর গ্রামে ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমানের ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে ডাকাডাকি করলেও কারো কোনো সাড়া মেলেনি। একপর্যায়ে তারা উঁকি দিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় হাদিছা বেগমের মরদেহ পড়ে রয়েছে। আর খাটে তার আড়াই বছর বয়সী মেয়ে মিম আক্তারের গলা কাটা মরদেহ পড়ে রয়েছে। অপর একটি কক্ষে গলা কাটা অবস্থায় মোজাহিদ মিয়ার (৭ মাস) মরদেহও দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
পরদিন শনিবার হাদিসার বাবা শামীম মিয়া বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ একজনকে আটক করলেও তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করেনি।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই হাদিসার স্বামী মুজিবুর রহমান পলাতক থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহের তীর তার দিকেই। তাদের ধারণা হাদিসার স্বামীই দুই সন্তানসহ তাকে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
আরএ