মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রামের লোকজন মদিনা ও যমুনা পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে পরিবহন সংকট সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী লোকজন।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মহাসড়কে সিএনজি, অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং অফিসগামী লোকদের চলাচলে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াবাজার এলাকায় মহাসড়কে চলমান ফেনী-কুমিল্লাগামী যমুনা ও মদিনার স্টপেজ না থাকায় এ এলাকার মানুষের কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে পড়েছে।
কালিকাপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি মাহবুব হোসেন জানান, নোয়াবাজারে সোনালী ব্যাংক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ এবং বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন এ বাজার হয়ে শতশত শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। তাই নোয়াবাজারে মদিনা এবং যমুনা পরিবহনের বাসের জন্য স্টপেজ স্থাপনের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি।
মিয়াবাজার হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের নির্দিষ্ট দু’টি বাসের স্টপেজের দাবিতে স্থানীয় জনগণ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এনএইচটি